বাংলাদেশে জনপ্রিয় ১০ টি গাড়ির ব্র্যান্ড

বাংলাদেশে গাড়ির চাহিদা দিন দিন দ্রুত বাড়ছে। শহরের ব্যস্ত রাস্তা থেকে শুরু করে গ্রামের শান্তিপূর্ণ পথ—সব জায়গায় আজকাল মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য গাড়ির প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। ক্রেতারা খুঁজছেন এমন সব ব্র্যান্ড ও মডেল যেগুলো তাঁদের দৈনন্দিন চাহিদা, নিরাপত্তা এবং বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও মডেলের গাড়ি আজ বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য। নিচে আমরা কিছু জনপ্রিয় গাড়ির ব্র্যান্ড এবং তাদের মডেলের ওপর আলোকপাত করেছি, যা আপনাকে সঠিক গাড়ি নির্বাচনে সহায়তা করতে পারে।
১. টয়োটা (Toyota)
টয়োটা একটি বিশ্ববিখ্যাত জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যার প্রতিষ্ঠা ১৯৩৭ সালে। এর সদর দপ্তর জাপানের আইচি প্রিফেকচারে অবস্থিত। টয়োটার মূলমন্ত্র হলো উচ্চমানের গাড়ি তৈরি করা, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই। এই ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের গাড়ি বাজারে অন্যতম প্রধান স্থান অধিকার করে আছে। টয়োটা করোলা, প্রিমিও এবং অ্যালিয়ন মডেলগুলো বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মডেলের মধ্যে রয়েছে।
টয়োটা করোলা: এই মডেলটি বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক বিক্রিত গাড়ি। বাংলাদেশে করোলার জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে এর জ্বালানি সাশ্রয়ী ইঞ্জিন, আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ ডিজাইন এবং কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ। করোলা মডেলটি পরিবার এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এটি দীর্ঘ যাত্রায় আরামদায়ক এবং সিটি ড্রাইভের জন্যও চমৎকার।
টয়োটা প্রিমিও: বিলাসবহুল ও মসৃণ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতার জন্য প্রিমিও মডেলটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এর উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আরামদায়ক ইন্টেরিয়র এবং স্টাইলিশ লুক এটিকে শহুরে গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই মডেলটি শহুরে এবং হাইওয়ে রাইডের জন্য সমানভাবে পারফেক্ট।
টয়োটা অ্যালিয়ন: অ্যালিয়ন মডেলটি স্টাইলিশ ডিজাইন এবং উন্নত ফিচারের জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়। এই গাড়িতে রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন, আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা এবং উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা। যেসব গ্রাহক উন্নত প্রযুক্তি এবং মডার্ন ডিজাইনের জন্য বাড়তি বিনিয়োগ করতে চান, অ্যালিয়ন তাঁদের জন্য এক আদর্শ পছন্দ।
২. নিশান (Nissan)
নিশান একটি জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান কার্যালয় টোকিওতে অবস্থিত। নিশান গাড়ির জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে এবং বাংলাদেশের বাজারেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ড হিসেবে বিবেচিত। নিশান গাড়িগুলি দীর্ঘস্থায়ী, নির্ভরযোগ্য এবং অত্যন্ত শক্তিশালী।
নিশান সানি: নিশান সানি মডেলটি মূলত শহুরে চালকদের জন্য আদর্শ। এটি আকারে কমপ্যাক্ট, সহজে পার্ক করা যায়, এবং এর মাইলেজ অত্যন্ত ভালো। নিশান সানি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের পারিবারিক গাড়ি, যা আরামদায়ক এবং সহজে চালানো যায়। এটি শহরের ট্রাফিকে চালানোর জন্য দুর্দান্ত।
নিশান এক্সট্রেইল: নিশানের এক্সট্রেইল একটি শক্তিশালী এসইউভি, যা বাংলাদেশের অফ-রোড এবং অন-রোড উভয় ধরনের পথের জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে উন্নত ট্র্যাকশন সিস্টেম এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন। এক্সট্রেইল গাড়িটি উচ্চতর সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং মজবুত গঠনশৈলীর জন্য জনপ্রিয়।
নিশান জুক: জুক মডেলটি নিশানের একটি আধুনিক এবং স্পোর্টি এসইউভি, যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জুকের আকর্ষণীয় ডিজাইন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং উন্নত ফিচারগুলি এটিকে একটি আর্কষণীয় গাড়ি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশেষ করে শহরে চলাচলের জন্য এটি দারুণভাবে উপযোগী।
৩. হোন্ডা (Honda)
হোন্ডা একটি সুপরিচিত জাপানি ব্র্যান্ড, যা গাড়ির পাশাপাশি মোটরসাইকেল এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নির্মাণেও খ্যাত। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানির প্রধান কার্যালয় টোকিওতে অবস্থিত। হোন্ডা গাড়িগুলি তাদের শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং উন্নত প্রযুক্তির জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের বাজারে হোন্ডার সিভিক, সিটি এবং ভেজেল মডেলগুলো বেশ জনপ্রিয়।
হোন্ডা সিভিক: আধুনিক ডিজাইন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য হোন্ডা সিভিক বেশ সমাদৃত। এর ইন্টেরিয়র অত্যন্ত আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ। সিভিক মডেলটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়, কারণ এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি এবং মডার্ন স্টাইলিং।
হোন্ডা সিটি: হোন্ডা সিটি মডেলটি সিটির ট্রাফিকের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর কমপ্যাক্ট সাইজ এবং উন্নত মাইলেজ এটিকে শহুরে চালকদের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। এর সাশ্রয়ী জ্বালানি খরচ এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক গ্রাহকের প্রিয়।
হোন্ডা ভেজেল: হোন্ডা ভেজেল একটি শক্তিশালী কম্প্যাক্ট এসইউভি, যা অফ-রোড এবং অন-রোড উভয় ক্ষেত্রেই চমৎকার পারফরম্যান্স দেয়। মজবুত গঠনশৈলী, বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং উন্নত প্রযুক্তি এটিকে অন্য গাড়িগুলোর থেকে আলাদা করে তুলেছে।
৪. মিতসুবিশি (Mitsubishi)
মিতসুবিশি একটি বিশ্বখ্যাত জাপানি কোম্পানি, যা ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর গাড়িগুলি তাদের মজবুত গঠন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের বাজারে মিতসুবিশি পাজেরো এবং আউটল্যান্ডার মডেলগুলো খুবই জনপ্রিয়।
মিতসুবিশি পাজেরো: পাজেরো একটি শক্তিশালী অফ-রোড এসইউভি, যা উচ্চ-নিচু, খারাপ রাস্তায় সহজেই চলতে পারে। এর শক্তিশালী ইঞ্জিন, উন্নত ট্র্যাকশন সিস্টেম এবং নিরাপত্তা ফিচারের কারণে এটি গাড়ির শৌখিনদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত।
মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার: আউটল্যান্ডার একটি আধুনিক এসইউভি, যা পারিবারিক ভ্রমণ এবং দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত। এর আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ ফিচার, উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ইঞ্জিন এটিকে একটি ভালো পছন্দে পরিণত করেছে।
৫. ফোর্ড (Ford)
ফোর্ড একটি আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ডিয়ারবর্ন, মিশিগানে অবস্থিত। বিলাসবহুল ও মজবুত গাড়ি নির্মাণে ফোর্ডের সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে ফোর্ড এভারেস্ট এবং রেঞ্জার মডেল দুটি বেশ জনপ্রিয়।
ফোর্ড এভারেস্ট: ফোর্ড এভারেস্ট একটি শক্তিশালী এসইউভি, যা শহুরে রাস্তা থেকে অফ-রোড উঁচু-নিচু পথে চালানোর জন্য উপযুক্ত। এর বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এটি একটি প্রিমিয়াম গাড়ি হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে।
ফোর্ড রেঞ্জার: ফোর্ড রেঞ্জার একটি শক্তিশালী পিকআপ ট্রাক, যা বাংলাদেশের কৃষি এবং নির্মাণ শিল্পে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এর মজবুত গঠন, অফ-রোডে সহজ চলাচল এবং উচ্চ নিরাপত্তা ফিচারগুলির কারণে এটি কর্মশক্তির প্রতীক।
৬. মার্সিডিজ-বেঞ্জ (Mercedes-Benz)
মার্সিডিজ-বেঞ্জ একটি জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চমানের নির্মাণশৈলী, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিলাসবহুল অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের জন্য মার্সিডিজ-বেঞ্জ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। বাংলাদেশের উচ্চবিত্তদের মধ্যে এই ব্র্যান্ডটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়, এবং এর বেশ কিছু মডেল যেমন সি-ক্লাস, ই-ক্লাস, এবং জি-ক্লাস এসইউভি চমৎকারভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
মার্সিডিজ সি-ক্লাস: এটি মার্সিডিজের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মডেল, যা বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা এবং আরামদায়ক ড্রাইভিং প্রদান করে। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত গ্রাহকদের মধ্যে সি-ক্লাসের বেশ চাহিদা রয়েছে, কারণ এটি আধুনিক ডিজাইন এবং উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসে।
মার্সিডিজ ই-ক্লাস: ই-ক্লাস মডেলটি দীর্ঘ ভ্রমণ এবং ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ। এতে রয়েছে উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা, প্রশস্ত ইন্টেরিয়র এবং উচ্চমানের পারফরম্যান্স, যা যেকোনো অবস্থায় চমৎকার ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
মার্সিডিজ জি-ক্লাস: এই মডেলটি মার্সিডিজের অন্যতম শক্তিশালী এসইউভি, যা অফ-রোড এবং অন-রোড উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেয়। বিলাসবহুল এবং শক্তিশালী এই গাড়িটি উচ্চবিত্তদের জন্য আকর্ষণীয় একটি পছন্দ।
৭. বিএমডব্লিউ (BMW)
বিএমডব্লিউ, জার্মানির আরেকটি বিখ্যাত বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিলাসবহুল গাড়ির ক্ষেত্রে বিএমডব্লিউর সুনাম রয়েছে। তাদের গাড়িগুলিতে স্পোর্টি চেহারা, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং উন্নত প্রযুক্তি মিলে একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়। বাংলাদেশে ৩-সিরিজ, ৫-সিরিজ এবং এক্স৫ মডেলগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
বিএমডব্লিউ ৩-সিরিজ: এটি বিএমডব্লিউর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পরিচিত মডেলগুলোর মধ্যে একটি। এটির স্পোর্টি ডিজাইন এবং উন্নত ড্রাইভিং পারফরম্যান্স তরুণ গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
বিএমডব্লিউ ৫-সিরিজ: ৫-সিরিজটি প্রিমিয়াম সেডানের প্রতীক এবং এটি ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এতে রয়েছে উন্নত ইন্টেরিয়র, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা একটি অসাধারণ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
বিএমডব্লিউ এক্স৫: বিএমডব্লিউর এসইউভি মডেলগুলোর মধ্যে এক্স৫ একটি জনপ্রিয় নাম। শক্তিশালী গঠন, উন্নত নিরাপত্তা এবং স্পোর্টি ডিজাইন এটিকে শহুরে রাস্তা এবং অফ-রোড উভয় ধরনের চলাচলের জন্য আদর্শ করে তোলে।
৮. অডি (Audi)
অডি, জার্মানির আরেকটি বিখ্যাত বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা, যা ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্র্যান্ডটি প্রিমিয়াম গাড়ি এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য সুপরিচিত। অডির গাড়িগুলি তাদের আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ, আধুনিক ডিজাইন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে অডি এ৪, এ৬, এবং কিউ৭ মডেলগুলি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
অডি এ৪: এই মডেলটি স্টাইলিশ ডিজাইন এবং উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসে, যা ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব এবং তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এর ইন্টেরিয়র অত্যন্ত বিলাসবহুল এবং এর ড্রাইভিং পারফরম্যান্স চমৎকার।
অডি এ৬: অডি এ৬ একটি উচ্চমানের সেডান, যা ব্যবসায়িক ভ্রমণ এবং দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য আদর্শ। উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কারণে এটি একটি প্রিমিয়াম গাড়ি হিসেবে বিবেচিত।
অডি কিউ৭: অডি কিউ৭ একটি বিলাসবহুল এসইউভি, যা পরিবারিক এবং দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এর স্পেসিয়াস ইন্টেরিয়র এবং মজবুত গঠন এটিকে শক্তিশালী এবং আরামদায়ক করে তোলে।
৯. মাযদা (Mazda)
মাযদা একটি জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গাড়ির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে পরিচিত এই ব্র্যান্ডটি শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং স্টাইলিশ ডিজাইনের জন্য খ্যাত। বাংলাদেশে মাযদা ৩, মাযদা ৬ এবং সিএক্স-৫ মডেলগুলির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
মাযদা ৩: মাযদা ৩ একটি সেডান মডেল, যা স্টাইলিশ ডিজাইন এবং উন্নত ড্রাইভিং পারফরম্যান্সের জন্য বেশ পরিচিত। শহরের ট্রাফিক এবং দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য এটি আদর্শ।
মাযদা ৬: মাযদা ৬ মডেলটি কমফোর্ট এবং স্টাইলের মিশ্রণ। এটি পারিবারিক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং এর স্পেসিয়াস ইন্টেরিয়র এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ইঞ্জিন এটি জনপ্রিয় করে তুলেছে।
মাযদা সিএক্স-৫: সিএক্স-৫ মডেলটি একটি কম্প্যাক্ট এসইউভি, যা শহরের রাস্তায় এবং অফ-রোডে চমৎকার পারফরম্যান্স দেয়। এটি শক্তিশালী, আরামদায়ক এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী।
১০. কিয়া (Kia)
কিয়া একটি দক্ষিণ কোরিয়ান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিয়া গাড়ির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় এবং সাশ্রয়ী দামের জন্য পরিচিত। এর স্পোর্টেজ, সেলটোস এবং কার্নিভাল মডেলগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়।
কিয়া স্পোর্টেজ: কিয়া স্পোর্টেজ একটি শক্তিশালী এসইউভি, যা শহুরে রাস্তা এবং অফ-রোড উভয় ক্ষেত্রেই ভালো পারফরম্যান্স দেয়। এতে রয়েছে বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি।
কিয়া সেলটোস: সেলটোস একটি কম্প্যাক্ট এসইউভি, যা বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয়। উন্নত প্রযুক্তি, মডার্ন ডিজাইন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য এটি অনেকের প্রিয়।
কিয়া কার্নিভাল: কিয়া কার্নিভাল একটি বিলাসবহুল এমপিভি, যা পরিবারিক ভ্রমণ এবং দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য আদর্শ। এতে আরামদায়ক ইন্টেরিয়র, উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত সিটিং স্পেস রয়েছে।
কেন গাড়ির ব্র্যান্ড পছন্দ করার সময় ‘CarSell’ এর সাহায্য নেবেন?
গাড়ি কেনার সময় সঠিক ব্র্যান্ড নির্বাচন এবং রিকন্ডিশন বা নতুন গাড়ি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘CarSell’ হতে পারে আপনার আস্থাভাজন সঙ্গী। CarSell বাংলাদেশে নতুন, পুরাতন ও রিকন্ডিশন গাড়ি কেনা-বেচার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম। এ ওয়েবসাইটটি গাড়ি কেনা-বেচার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে, যা আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।