গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানোর ৭টি সহজ উপায়

 প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন   |   গাড়ির টিপস এবং কৌশল , টিপস ও গাইড

গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানোর ৭টি সহজ উপায়

আমাদের দেশে জ্বালানি সাশ্রয় এবং গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানো বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু আর্থিক খরচ কমায় না, বরং পরিবেশ রক্ষার দিক থেকেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অধিকাংশ মানুষ গাড়ি চালানোর সময় অজান্তেই কিছু অভ্যাস অনুসরণ করেন, যা গাড়ির জ্বালানির অপচয় বাড়িয়ে দেয়। ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানোর মাধ্যমে শুধু ব্যক্তিগত খরচ কমানো যায় না, বরং আমরা আমাদের কার্বন ফুটপ্রিন্টও কমাতে পারি, যা দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশের জন্য সহায়ক।


তাহলে কীভাবে গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানো যায়? কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ এবং কিছু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা আমাদের গাড়ির জ্বালানির সাশ্রয় করতে পারি। এখানে উল্লেখ করা হলো এমন ৭টি সহজ উপায়, যা অনুসরণ করলে আপনি গাড়ি চালানোর সময় জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয় করতে সক্ষম হবেন। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনার গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়বে এবং গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ ও অর্থনৈতিক হবে।

১. সঠিক গতিতে গাড়ি চালানো

সঠিক গতিতে গাড়ি চালানো


গাড়ি চালানোর গতি ফুয়েল ইকোনমির ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে। অনেকেই দ্রুত গাড়ি চালানোর মাধ্যমে গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু অতিরিক্ত গতি আসলে জ্বালানির অপচয় ঘটায়। সাধারণত, প্রতি ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালালে গাড়ির ইঞ্জিন সবচেয়ে দক্ষভাবে কাজ করে, ফলে জ্বালানি সাশ্রয় হয়।


এর পেছনে মূল কারণ হলো বায়ুরোধ (aerodynamic drag) বা বাতাসের প্রতিরোধ শক্তি। যখন গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে, তখন বায়ুরোধের পরিমাণও বেড়ে যায়। উচ্চ গতির কারণে ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে হয়, এবং এই অতিরিক্ত শক্তি অর্জনের জন্য বেশি জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালান, তবে ইঞ্জিনকে ৮০ কিলোমিটারের গতির তুলনায় প্রায় ২০-২৫% বেশি জ্বালানি ব্যয় করতে হয়।


একটি সঠিক গতি বজায় রাখা শুধুমাত্র জ্বালানি সাশ্রয় করে না, বরং গাড়ির ইঞ্জিনের ওপর বাড়তি চাপ কমায়। অনেক সময় দ্রুত গতি হঠাৎ করে ব্রেক করার প্রয়োজন তৈরি করে, যা গাড়ির ব্রেক প্যাড এবং ইঞ্জিনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ফলে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বেড়ে যায়।


তাই, গাড়ি চালানোর সময় আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট এবং স্থিতিশীল গতিতে চালানোর অভ্যাস করেন, তবে তা আপনার গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি এবং ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য দুটোই বজায় রাখতে সহায়ক হবে। আপনি যদি দূরপাল্লার যাত্রায় যান, তবে গাড়ির গতি সীমা নিয়ন্ত্রণ করা এবং উচ্চ গতিতে চালানোর অভ্যাস পরিবর্তন করা আপনার ফুয়েল ইকোনমি আরও বাড়াতে পারে।

২. নিয়মিত ইঞ্জিন টিউনআপ করানো

নিয়মিত ইঞ্জিন টিউনআপ করানো


ইঞ্জিন একটি গাড়ির প্রাণশক্তি। তাই, ইঞ্জিনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা গাড়ির জ্বালানি ব্যবহারের সাশ্রয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইঞ্জিন টিউনআপ বলতে বোঝায় ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মেরামত কার্যক্রম। এতে ইঞ্জিনের এয়ার ফিল্টার, ফুয়েল ইঞ্জেক্টর, স্পার্ক প্লাগ, থ্রোটেল বডি এবং অন্যান্য অংশ পরীক্ষা করা হয়।


ইঞ্জিনের এয়ার ফিল্টার যদি ময়লা বা ধুলোমাখা থাকে, তবে ইঞ্জিনে বায়ুপ্রবাহ কমে যায়, ফলে জ্বালানির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করতে হয়। স্পার্ক প্লাগের অবস্থা খারাপ হলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স কমে এবং জ্বালানি দক্ষতা হ্রাস পায়। তাই ইঞ্জিনের প্রতিটি অংশকে নির্ভরযোগ্য রাখতে নিয়মিত টিউনআপ করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিনের টিউনআপ করানো উচিত। এতে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা যেমন ভালো থাকে, তেমনি জ্বালানি ব্যবহারের হারও কমে আসে। ইঞ্জিনের টিউনআপ না করালে গাড়ি চালানোর সময় ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন হয় এবং অপ্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ হয়।


প্রায়ই আমরা মনে করি, ইঞ্জিন টিউনআপ করানো মানে অতিরিক্ত খরচ, কিন্তু নিয়মিত টিউনআপ করালে ইঞ্জিনের ক্ষতি রোধ করা যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে তা খরচ সাশ্রয়ী হয়। তাই, আপনার গাড়ির ইঞ্জিন নিয়মিত টিউনআপ করানোর মাধ্যমে আপনি জ্বালানি সাশ্রয় করতে এবং পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অবদান রাখতে পারেন।

৩. টায়ারের সঠিক চাপ রাখা

টায়ারের সঠিক চাপ রাখা


টায়ারের সঠিক চাপ রাখা গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য অপরিহার্য। অনেকেই টায়ারের চাপের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু টায়ারের কম বা বেশি চাপ জ্বালানি খরচের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। টায়ারে সঠিক চাপ না থাকলে, টায়ার জমিনের সাথে বেশি ঘর্ষণ তৈরি করে এবং গাড়ির ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়।


যদি টায়ারের চাপ কম থাকে, তবে গাড়ির রোলিং রেসিস্ট্যান্স (rolling resistance) বা ঘূর্ণন প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এটি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করে এবং ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে তেল খরচ বেড়ে যায়। কম চাপের টায়ার চালাতে গেলে গাড়ির মাইলেজ প্রায় ১০-১৫% কমে যেতে পারে।


অপরদিকে, যদি টায়ারের অতিরিক্ত চাপ থাকে, তবে টায়ার দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। তাই, টায়ারে সঠিক চাপ রাখা কেবল জ্বালানি সাশ্রয়ই করে না, বরং গাড়ির নিরাপত্তা এবং টায়ারের স্থায়িত্বও বাড়ায়।


প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে আপনার গাড়ির টায়ারের চাপ পরীক্ষা করা উচিত। বেশিরভাগ গাড়ির ইন্সট্রাকশন ম্যানুয়াল বা ড্রাইভারের পাশের দরজায় টায়ারের জন্য সঠিক চাপের নির্দেশনা থাকে। সঠিক চাপ বজায় রেখে গাড়ি চালালে তা জ্বালানি সাশ্রয় করতে সহায়ক হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী ভ্রমণেও গাড়ির কর্মক্ষমতা ভালো থাকে।

৪. অতিরিক্ত ভার এড়ানো

অতিরিক্ত ভার এড়ানো


গাড়িতে অতিরিক্ত ভার থাকলে তা সরাসরি ফুয়েল ইকোনমির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারণ, অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য গাড়ির ইঞ্জিনকে বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয়, ফলে বেশি জ্বালানি ব্যবহার হয়। অনেক সময় আমরা গাড়িতে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জমিয়ে রাখি, যা মোট ওজন বৃদ্ধি করে এবং ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে।


গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি ঠিক রাখতে হলে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ির ট্রাঙ্কে অপ্রয়োজনীয় ভারী জিনিস জমিয়ে রাখলে তা গাড়ির ওজন বাড়ায় এবং এর ফলে প্রতি কিলোমিটারে জ্বালানির খরচ বেড়ে যায়। এক কিলোগ্রাম বাড়তি ওজনের জন্য গাড়ির মাইলেজ প্রায় ১-২% কমে যেতে পারে। দীর্ঘ ভ্রমণে বা যাতায়াতে এই বাড়তি খরচ মোটামুটি বড় আকারে প্রভাব ফেলতে পারে।


গাড়ির ওজন কম রাখার ফলে শুধু ফুয়েল ইকোনমি বাড়ে না, বরং এটি ইঞ্জিন, ব্রেক এবং টায়ারের উপরেও বাড়তি চাপ কমায়, ফলে গাড়ির বিভিন্ন অংশের স্থায়িত্ব বাড়ে। তাই, আপনার গাড়ির ট্রাঙ্ক বা ভেতরের স্থান নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস রাখুন। এভাবে অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে গাড়ির কার্যক্ষমতা ও ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানো সম্ভব।

৫. এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে সতর্ক থাকা

এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে সতর্ক থাকা


এসি বা এয়ার কন্ডিশনার গাড়ির আরামদায়ক যাত্রার জন্য অপরিহার্য, তবে এটি ফুয়েল ইকোনমির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ, এসি চালানোর ফলে ইঞ্জিনের উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং এর জন্য অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়। যখন গাড়ির এসি চালানো হয়, তখন ইঞ্জিনের উপর প্রায় ২০% বেশি জ্বালানি চাপ পড়ে।


বিশেষত গরমের সময় আমরা প্রায়শই এসি চালিয়ে রাখি। তবে এই সময়ে জানালা খুলে বা ভেন্টিলেশন ব্যবহার করে বাতাস প্রবাহিত করানোর মাধ্যমে এসির প্রয়োজনীয়তা অনেকটা কমানো সম্ভব। শহরের ভেতরে ধীর গতিতে চলার সময় এসি ব্যবহারের পরিবর্তে জানালা খুলে রাখলে জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়।


এসি ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা সর্বোচ্চ মাত্রায় এসি চালানোর পরিবর্তে তা মাঝারি বা ন্যূনতম মাত্রায় রাখলে জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব। দূরপাল্লার ভ্রমণের সময় এসির ব্যবহার মাঝে মাঝে বন্ধ করে গাড়ির কার্যক্ষমতা এবং ফুয়েল ইকোনমি বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। এভাবে আপনি এসির ব্যবহার কমিয়ে এনে জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারেন।

৬. সঠিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার

সঠিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার


গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল সঠিক না থাকলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ইঞ্জিনকে তেল খরচ বাড়িয়ে কাজ করতে হয়। ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের অংশগুলোকে সঠিকভাবে চলমান রাখতে সহায়ক এবং অতিরিক্ত ঘর্ষণ থেকে রক্ষা করে। যদি আপনি সঠিক ভিসকোসিটি (thickness) অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার না করেন, তবে ইঞ্জিনের অংশগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, যা অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


প্রতিটি গাড়ির ইঞ্জিনের জন্য নির্দিষ্ট প্রকারের অয়েল প্রয়োজন। আপনি যদি হালকা ভিসকোসিটির অয়েল ব্যবহার করেন, তবে তা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং তেলের অপচয় কমাবে। কিছু উন্নতমানের স্লাজ-প্রতিরোধী ইঞ্জিন অয়েল রয়েছে, যা ইঞ্জিনের জীবনীশক্তি ধরে রাখে এবং জ্বালানি ব্যবহারের হার কমায়।


আপনার গাড়ির ম্যানুয়াল অনুসারে সঠিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া ইঞ্জিন অয়েল নিয়মিত পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সময়ের সাথে সাথে ইঞ্জিন অয়েল ময়লাযুক্ত হয়ে যায় এবং এর কার্যকারিতা কমে যায়। তাই সঠিক অয়েল ব্যবহার এবং নিয়মিত পরিবর্তন করলে ইঞ্জিনের ফুয়েল ইকোনমি বৃদ্ধি পায় এবং ইঞ্জিনের দীর্ঘায়ু নিশ্চিত হয়।

৭. স্টপ-স্টার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার

স্টপ-স্টার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার


আধুনিক গাড়িগুলোর অনেকগুলোতেই স্টপ-স্টার্ট প্রযুক্তি (Stop-Start Technology) যুক্ত থাকে, যা গাড়ি থামানোর সময় ইঞ্জিনকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেয় এবং আবার চলতে শুরু করার সময় চালু করে। বিশেষ করে শহরের ভেতরে যানজট বা ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষার সময় এই প্রযুক্তি জ্বালানি সাশ্রয়ে বড় ভূমিকা রাখে।


এই প্রযুক্তি চালু থাকলে গাড়ির ইঞ্জিন যখন থামানো অবস্থায় থাকে, তখন ইঞ্জিনের জন্য জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ থাকে। ফলে ট্রাফিকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করার সময় তেল খরচ হয় না। প্রায়ই যানজটের সময় ইঞ্জিন চালু অবস্থায় রেখে অপেক্ষা করলে অপ্রয়োজনীয় তেল খরচ হয়ে যায়। স্টপ-স্টার্ট প্রযুক্তি এই ধরনের অপচয় এড়াতে সহায়ক।


তবে এই প্রযুক্তি শুধু আধুনিক গাড়িতেই সীমাবদ্ধ নয়। যদি আপনার গাড়িতে স্টপ-স্টার্ট প্রযুক্তি না থাকে, তবুও হাত দিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ এবং চালু করে জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারেন। যখন দীর্ঘ সময় ট্রাফিক জ্যামে থামতে হয়, তখন ইঞ্জিন বন্ধ রাখলে কিছুটা হলেও ফুয়েল ইকোনমি বৃদ্ধি হয়। এই অভ্যাসটি শহরের ট্রাফিকে চলাচলের সময় জ্বালানি খরচ কমাতে সহায়ক।


এই কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়াতে পারেন। গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় শুধু আপনার খরচ কমাবে না, বরং পরিবেশ সংরক্ষণেও অবদান রাখবে।

শেষ কথা

গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়ানো শুধু খরচ সাশ্রয়ের জন্যই নয়, বরং এটি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক গতি বজায় রাখা, নিয়মিত ইঞ্জিন টিউনআপ করানো, টায়ারের চাপ সঠিক রাখা, অপ্রয়োজনীয় ভার কমানো এবং এসি ব্যবহারে সতর্কতা—এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো আপনার গাড়ির জ্বালানি খরচ কমাতে সহায়ক হবে। গাড়ির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আপনি দীর্ঘমেয়াদে অর্থ এবং সময়ের সাশ্রয় করতে পারেন। অতএব, গাড়ির যত্নে সামান্য মনোযোগ ও কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে আপনি আপনার গাড়িকে সেরা কার্যক্ষমতায় রাখতে পারবেন এবং পরিবেশবান্ধব গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।


CarSell.Com.Bd -এ নতুন ও পুরাতন গাড়ির সেরা কালেকশনের সাথে আপনার জন্য দরকারি সব তথ্যই সহজে পাবেন। আমাদের পরামর্শগুলো অনুসরণ করে আপনার গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি বাড়ান, এবং আপনার গাড়ি সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে থাকুন।