SUV গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ৫টি বিষয়

 প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন   |   গাড়ি , টিপস ও গাইড

SUV গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ৫টি বিষয়

SUV গাড়ি আমাদের দেশের রাস্তায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উন্নত পারফরম্যান্স, আরামদায়ক যাত্রা এবং বহুমুখী ফিচার থাকার কারণে SUV বা স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল আজকাল অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে। SUV গাড়িগুলোর উচ্চতা ও শক্তিশালী ইঞ্জিন যে কোনো রাস্তায় মসৃণভাবে চলার সুবিধা দেয়, আর প্রশস্ত ইন্টেরিয়র পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সাথে আরামদায়ক যাত্রার নিশ্চয়তা প্রদান করে। যাঁরা নিয়মিত দূরপাল্লার যাত্রা করেন বা শহরের ট্রাফিক পেরিয়ে আরামদায়কভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে চান, তাঁদের জন্য SUV গাড়ি একটি আদর্শ সমাধান।


তবে, এতগুলো ফিচারের মধ্যে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মডেলটি নির্বাচন করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেওয়া প্রয়োজন, যেন আপনি আপনার চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গাড়িটি পেতে পারেন। বাজেট, ব্যবহার, নিরাপত্তা, আরামের জন্য স্পেস এবং মেইনটেন্যান্স—এই বিষয়গুলো SUV কেনার সিদ্ধান্তে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। চলুন, SUV কেনার আগে যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।

১. বাজেট নির্ধারণ



SUV গাড়ি কেনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আপনার বাজেট নির্ধারণ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SUV গাড়িগুলোর মধ্যে নতুন, পুরাতন, এবং রিকন্ডিশন বিভিন্ন মডেল পাওয়া যায়, এবং তাদের দামও ভিন্ন ভিন্ন হয়। সঠিক বাজেট নির্ধারণ করতে হলে শুধু গাড়ির ক্রয়মূল্য নয়, এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য খরচের কথাও মাথায় রাখা প্রয়োজন।


প্রথমেই ভাবতে হবে, আপনি কী ধরনের SUV কিনতে চান। নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে, তবে এতে গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি সুবিধা পাওয়া যায় এবং দীর্ঘদিন মেইনটেন্যান্সের চিন্তা তেমন থাকে না। অন্যদিকে, পুরাতন বা রিকন্ডিশন গাড়ি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়, তবে এতে মেইনটেন্যান্স ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেশি হতে পারে।


বাজেট ঠিক করার সময় গাড়ির ইন্স্যুরেন্স খরচের কথাও মাথায় রাখা উচিত। SUV গাড়ির জন্য ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম সাধারণত সেডান বা হ্যাচব্যাক গাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। তাই গাড়ির প্রাইস ট্যাগের বাইরে ইন্স্যুরেন্স খরচও যোগ করতে হবে।


এর পাশাপাশি, SUV গাড়ি ব্যবহারের সময় এর ফুয়েল খরচও বিবেচনা করা জরুরি। SUV গাড়িগুলো আকারে বড় ও শক্তিশালী হওয়ায় ফুয়েল খরচ সাধারণত বেশি হয়। আপনার দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য যদি ফুয়েল এফিসিয়েন্সি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ফুয়েল-এফিশিয়েন্ট মডেল বেছে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।


বাজেট নির্ধারণের সময় গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও মাথায় রাখতে হবে। SUV গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সার্ভিসিং খরচ অন্যান্য গাড়ির তুলনায় বেশি হতে পারে। তাই, এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আপনার বাজেট নির্ধারণ করা উচিত, যাতে আপনার ক্রয়ের পর কোনো অতিরিক্ত ব্যয় আপনার জন্য অপ্রত্যাশিত না হয়।

২. ব্যবহার লক্ষ্য ঠিক করা



SUV কেনার আগে আপনার ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করাটা খুবই জরুরি। SUV কেনার মূল কারণ কি আপনি শহরের মধ্যে ড্রাইভ করবেন, নাকি এটি দীর্ঘ ভ্রমণ বা পরিবারসহ যাতায়াতের জন্য? সম্ভবত আপনার ভ্রমণ রুটের মধ্যে অফ-রোড পথও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই ধরনের চিন্তা করে SUV গাড়ির ধরন নির্বাচন করলে আপনি আপনার টাকা এবং সময় উভয়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবেন।


যদি আপনার দৈনন্দিন যাতায়াত শহরের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং পার্কিংয়ের সমস্যা একটি বিবেচ্য বিষয় হয়, তাহলে কমপ্যাক্ট SUV বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এগুলো আকারে তুলনামূলক ছোট এবং শহরের ট্রাফিকে চলাচল করতে সুবিধাজনক। এছাড়া, ফুয়েল এফিসিয়েন্সি বেশি থাকায় এ ধরনের SUV দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট উপযোগী।


অন্যদিকে, যদি আপনি পরিবারসহ নিয়মিত দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করেন, তাহলে বড় মডেলের SUV বেছে নেওয়া যুক্তিযুক্ত। বড় SUV গাড়িগুলোতে অনেক বেশি প্যাসেঞ্জার ক্যাপাসিটি, বড় লেগরুম এবং প্রচুর স্টোরেজ স্পেস থাকে, যা পরিবারসহ ভ্রমণ করতে আরামদায়ক হয়। একইসাথে, এতে ক্লাইমেট কন্ট্রোল, শক্তিশালী সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকে যা যাত্রাকে আরো মনোরম করে তোলে।


যদি আপনার অ্যাডভেঞ্চারের ইচ্ছে থাকে এবং অফ-রোড পথেও ড্রাইভ করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আপনাকে এমন SUV বেছে নিতে হবে যাতে শক্তিশালী ইঞ্জিন, চার চাকার ড্রাইভ (4WD), এবং অফ-রোড ট্র্যাকশন কন্ট্রোল থাকে। এর ফলে উঁচু-নিচু পথে গাড়ি চালানো অনেক সহজ হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে।

৩. গাড়ির নিরাপত্তা ফিচার



SUV কেনার সময় গাড়ির নিরাপত্তা ফিচারগুলো খুব ভালোভাবে যাচাই করা উচিত, কারণ একটি নিরাপদ গাড়ি কেবল আপনার যাত্রাকে আরামদায়ক করে না, একইসঙ্গে যাত্রীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। SUV গাড়িগুলো সাধারণত অন্যান্য ধরনের গাড়ির তুলনায় বেশি উচ্চতার হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে, তাই এর সুরক্ষামূলক ফিচারগুলোও তুলনামূলকভাবে উন্নত হওয়া জরুরি।


SUV গাড়ির নিরাপত্তা ফিচারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এয়ারব্যাগ। অধিকাংশ SUV-তে ড্রাইভার এবং ফ্রন্ট প্যাসেঞ্জার সিটে স্ট্যান্ডার্ড এয়ারব্যাগ থাকে, তবে কিছু উন্নত মডেলে সাইড এয়ারব্যাগ ও কার্টেন এয়ারব্যাগও থাকে, যা যাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশ সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।


অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) SUV গাড়ির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ফিচার। এটি গাড়ি চলাকালে হঠাৎ ব্রেক করলে চাকাগুলোর ঘর্ষণ কমিয়ে এনে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে। এছাড়াও, ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল (ESC) গাড়ির চলাচলের সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং জরুরি অবস্থায় গাড়ির স্কিডিং বা স্লিপিং রোধ করে।


SUV গাড়িগুলোর মধ্যে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে পারে, যেমন চাইল্ড সেফটি লক এবং চাইল্ড সিট অ্যাঙ্করিং সিস্টেম। এটি ছোট শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া, আধুনিক SUV মডেলগুলোর মধ্যে অনেকগুলিতে রিয়ার ভিউ ক্যামেরা এবং পার্কিং সেন্সর থাকে, যা ব্যাকিংয়ের সময় ড্রাইভারকে সঠিক নির্দেশনা দেয় এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা হ্রাস করে।


গাড়ির সেফটি রেটিংও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। SUV কেনার আগে আপনি যে মডেলটি পছন্দ করছেন তার ক্র্যাশ টেস্ট রেটিংগুলো দেখে নিতে পারেন, যা সাধারণত বিভিন্ন সেফটি সংস্থা দ্বারা প্রদান করা হয়। এই রেটিংগুলো আপনাকে গাড়ির নিরাপত্তার মান সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং সঠিক মডেল নির্বাচন করতে সহায়তা করবে।

৪. স্পেস এবং আরাম



SUV গাড়ি কেনার সময় স্পেস ও আরামের দিকটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত, বিশেষত যদি আপনি পরিবারসহ নিয়মিত ভ্রমণ করেন। SUV-তে সাধারণত বড় স্পেস, লেগরুম এবং হেডরুম থাকে যা যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে। বড় পরিবারের জন্যও SUV গাড়ি একটি আদর্শ বিকল্প, কারণ এতে প্রচুর সিটিং ব্যবস্থা থাকে যা বড় সংখ্যা যাত্রীকে আরামদায়কভাবে স্থান দেয়।


SUV-এর মধ্যে দুই ধরনের মডেল পাওয়া যায়: ৫ সিটার এবং ৭ সিটার। আপনার যাত্রার প্রয়োজন অনুযায়ী মডেলটি নির্বাচন করতে হবে। ৫ সিটারের SUV মডেলগুলো দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং এতে ট্রাংক স্পেস সাধারণত বেশি থাকে যা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য আরামদায়ক। অন্যদিকে, ৭ সিটারের SUV মডেলগুলো পরিবার ও বন্ধুবান্ধবসহ ভ্রমণের জন্য আদর্শ, কারণ এতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা সম্ভব।


আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য SUV গাড়িতে উচ্চমানের সিট থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মডেলে লেদার সিট, রিক্লাইনেবল সিট, এবং হিটেড সিটের মতো সুবিধা থাকে, যা দীর্ঘ ভ্রমণকালে আরামের মাত্রা বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে, ক্লাইমেট কন্ট্রোল সিস্টেমও যাত্রার সময় আরামদায়ক তাপমাত্রা বজায় রাখে, যা গরম বা শীতকালে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।


SUV গাড়িতে ভালো মানের সাউন্ড সিস্টেম ও ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক SUV মডেলে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, ব্লুটুথ, অ্যাপল কারপ্লে, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং বিভিন্ন ধরনের স্পিকার সেটআপ থাকে, যা যাত্রার সময় বিনোদন এবং যোগাযোগের সুবিধা দেয়। এছাড়া, কিছু মডেলে অ্যাডভান্সড নেভিগেশন সিস্টেমও থাকে যা আপনার গন্তব্যে সহজেই পৌঁছাতে সহায়ক।


অতএব, SUV কেনার সময় গাড়ির স্পেস, আরাম এবং বিভিন্ন ইনফোটেইনমেন্ট ফিচারের দিকটি বিবেচনা করে দেখুন।

৫. রক্ষণাবেক্ষণ এবং সেবা



SUV গাড়ি কেনার সময় এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্ভিসিং খরচের বিষয়টি বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SUV গাড়িগুলো আকারে বড়, শক্তিশালী এবং তাদের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি বেশি থাকে, যার ফলে মেইনটেন্যান্স খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। SUV-এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ নিয়মিত সেডান বা ছোট গাড়ির তুলনায় একটু বেশি হতে পারে, তাই এই বিষয়ে আগেই প্রস্তুত থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।


SUV-এর মেইনটেন্যান্স খরচের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে এর ইঞ্জিন সার্ভিসিং, টায়ার পরিবর্তন এবং অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশ। SUV গাড়িগুলোর টায়ার সাধারণত বড় এবং ভারী হয়, তাই এগুলো নিয়মিতভাবে পরিদর্শন এবং সময়মতো পরিবর্তন করা জরুরি, যা একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। এছাড়া, SUV গাড়ির ইঞ্জিন অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে বিশেষ তেল ও লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা লাগে, যা সাধারণত বেশি দামে পাওয়া যায়।


SUV-এর সাসপেনশন সিস্টেমও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। SUV গাড়িগুলোর সাসপেনশন শক্তিশালী হলেও দীর্ঘ সময় ধরে যদি অফ-রোড বা দুর্গম পথে চলাচল করে তবে এর ওপর চাপ পড়ে এবং এর মেরামতে অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। সাসপেনশন সিস্টেম ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত মেইনটেন্যান্স করতে হয়, যা SUV-এর দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে সহায়ক।


এছাড়া, SUV কেনার সময় খেয়াল রাখা উচিত যে গাড়ির ব্র্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার আপনার এলাকায় সহজলভ্য কিনা। দেশের বিভিন্ন স্থানে SUV ব্র্যান্ডের অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, তবে কিছু বিশেষ মডেলের খুচরা যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়া যায় না। আপনার SUV মডেলের জন্য পর্যাপ্ত সার্ভিসিং এবং মেইনটেন্যান্স সাপোর্ট পাওয়া যাবে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া উচিত, কারণ প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ সহজলভ্য না হলে সময়মতো গাড়ি মেরামত করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।


SUV গাড়ি কেনার পর এটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে যদি আপনি নিয়মিতভাবে এর রক্ষণাবেক্ষণ করেন। ইঞ্জিন তেল পরিবর্তন, ফিল্টার পরিষ্কারকরণ, ব্রেক চেকিং, এবং অন্যান্য অংশের সঠিক যত্ন নেওয়া হলে SUV গাড়ি দীর্ঘদিন ভালো সার্ভিস দিতে পারে। একটি SUV কেনার পর, সার্ভিসিং খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ সময় মতো করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে গাড়ি আপনার কাছে শুধু বিনিয়োগের বিষয় না হয়ে বরং দীর্ঘস্থায়ী সম্পদ হিসেবে প্রমাণিত হয়।


এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে SUV গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্ভিসিং সহজে পরিচালনা করতে পারবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে পারবেন।

শেষ কথা

SUV গাড়ি কেনার আগে আপনার বিভিন্ন চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো যেমন—বাজেট নির্ধারণ, ব্যবহারের উদ্দেশ্য, নিরাপত্তা ফিচার, স্পেস এবং আরাম, এবং রক্ষণাবেক্ষণ—এসব কিছু মাথায় রেখে SUV বেছে নিন, যাতে এটি আপনার দৈনন্দিন যাতায়াত বা পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তকে আরামদায়ক ও সুরক্ষিত করতে পারে।


SUV কেনার সিদ্ধান্তে সহায়ক আরও তথ্য এবং উপযুক্ত পরামর্শের জন্য CarSell.com.bd একটি নির্ভরযোগ্য গাইড হতে পারে। নতুন, পুরাতন বা রিকন্ডিশন SUV কিনতে CarSell.com.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন, যেখানে আপনি বিভিন্ন মডেলের SUV-এর মূল্য, বৈশিষ্ট্য এবং বিশেষ অফারগুলো সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাবেন। যেকোনো ধরণের SUV সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের ওয়েবসাইট আপনার সঙ্গী হয়ে কাজ করবে এবং আপনাকে সেরা চয়েসটি করতে সাহায্য করবে।