বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি

বাংলাদেশে কম বাজেটে মানসম্মত গাড়ি খুঁজে পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, বিশেষত যখন নতুন, পুরাতন, এবং রিকন্ডিশন গাড়ির মধ্যে সেরা অপশন বেছে নেওয়ার কথা আসে। অনেকেই এমন গাড়ি খুঁজছেন যা একদিকে বাজেট-ফ্রেন্ডলি, অন্যদিকে টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী। তবে বাজারে রয়েছে বেশ কিছু ভালো মানের গাড়ি যা সাশ্রয়ী দামে পাওয়া সম্ভব এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নির্ভরযোগ্য। এই লেখায় আমরা এমন সেরা দশটি গাড়ি নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো বর্তমান বাজারে তুলনামূলকভাবে কম খরচে পাওয়া যায় এবং যেগুলো মান, টেকসইত্ব, এবং রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকেও ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি প্রদান করতে সক্ষম।
১. টয়োটা অ্যালিয়ন
টয়োটা অ্যালিয়ন হলো টয়োটার একটি প্রিমিয়াম সেডান মডেল, যা বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। এই গাড়িটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ভ্রমণের সময় চালক ও যাত্রী উভয়েই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন। এতে রয়েছে প্রশস্ত ইন্টেরিয়র, আরামদায়ক আসন এবং উন্নতমানের সাসপেনশন সিস্টেম, যা রাস্তায় গাড়ির স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য বজায় রাখে।
টয়োটা অ্যালিয়নের শক্তিশালী ইঞ্জিন দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এ মডেলটি সাধারণত ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির মধ্যে পাওয়া যায়, যা ইঞ্জিনের শক্তি এবং মসৃণতা উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতমানের পারফরম্যান্স প্রদান করে। এই ইঞ্জিনের ফলে গাড়িটি দ্রুত স্পিড তোলার পাশাপাশি মাইলেজও ভালো দেয়। ফলে, দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য এটি বেশ অর্থনৈতিক। এছাড়া, এর ইঞ্জিন নির্মাণে উচ্চমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে, যা টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদি পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়।
টয়োটা অ্যালিয়ন বিশেষত বাংলাদেশে রিকন্ডিশন গাড়ি হিসেবে জনপ্রিয় কারণ এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া, টয়োটা ব্র্যান্ডের সার্ভিসিং এবং স্পেয়ার পার্টস সহজলভ্য, যা গাড়িটি মেরামতের ক্ষেত্রে আরেকটি বাড়তি সুবিধা। এ মডেলের গাড়ির ডিজাইনও অত্যন্ত মার্জিত, যা একে অন্যান্য গাড়ির তুলনায় ভিন্নমাত্রার সৌন্দর্য যোগ করে।
২. হোন্ডা সিভিক
হোন্ডা সিভিক একটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত মডেল, যা বাংলাদেশে পুরাতন এবং রিকন্ডিশন গাড়ি হিসেবে বহুল ব্যবহৃত। এর আকর্ষণীয় ডিজাইন, শক্তিশালী ইঞ্জিন, এবং সাশ্রয়ী ফুয়েল ইকোনমি একে বাজারে অনন্য করে তুলেছে। হোন্ডা সিভিকের বহির্বিন্যাস অত্যন্ত স্টাইলিশ এবং স্পোর্টি, যা নতুন প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। এর আকর্ষণীয় ফ্রন্ট গ্রিল, আধুনিক হেডলাইট এবং এরোডায়নামিক বডি ডিজাইন একে একটি অসাধারণ লুক প্রদান করে।
এই মডেলের ইঞ্জিন শক্তিশালী এবং প্রায়ই ১৫০০ সিসি থেকে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপাসিটিতে পাওয়া যায়। এর শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর সক্ষমতা স্পোর্টস কারের মতো অনুভূতি দেয়। হোন্ডা সিভিকের ইঞ্জিন একদিকে দ্রুত গতি অর্জনে সক্ষম, অন্যদিকে এটি জ্বালানী সাশ্রয়েও সক্ষম। ফলে, দৈনন্দিন চলাচলের জন্য এটি একটি উপযুক্ত মডেল।
হোন্ডা সিভিকের ফুয়েল ইকোনমি বা জ্বালানি দক্ষতা এটিকে শহরের ভেতরে এবং দূরপাল্লার ভ্রমণে খরচ বাঁচাতে সহায়তা করে। এই মডেলটি বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যেমন উন্নতমানের ইন্টেরিয়র ডিজাইন, সাপোর্টিভ সিটিং, এবং স্মার্ট কন্ট্রোল যা চালকের জন্য সুবিধাজনক। বাজারে রিকন্ডিশন অবস্থায় এই মডেলের অনেক গাড়ি পাওয়া যায়, যা চাহিদার কারণে সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়।
৩. নিশান সানি
নিশান সানি একটি নির্ভরযোগ্য এবং বাজেট-বান্ধব গাড়ি যা বাংলাদেশে বিশেষ করে শহরের ভেতরে দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত। এই গাড়িটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কম খরচে রক্ষণাবেক্ষণ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহার। নিশান সানি গাড়ির ইঞ্জিন সাধারণত ১৩০০ সিসি থেকে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা শহরের জন্য একটি আদর্শ অপশন।
এই মডেলের গাড়ির ইঞ্জিন মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী, যা প্রতিদিনের ব্যবহারেও কার্যকর থাকে। নিশান সানি গাড়ির ছোট আকার এবং কমপ্যাক্ট ডিজাইন শহরের ট্রাফিক এবং সরু রাস্তার জন্য খুবই সুবিধাজনক। এটি চালানো সহজ এবং মসৃণ, যা নতুন চালকদের জন্যও একে একটি আদর্শ গাড়ি করে তুলেছে।
নিশান সানির আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর উচ্চ ফুয়েল ইকোনমি। এটি সাধারণত প্রতি লিটার জ্বালানীতে অনেক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম, যা গাড়ির ব্যবহারকারীদের জন্য খরচ সাশ্রয় করে। নিশান সানির কম্প্যাক্ট বডি ডিজাইন এবং প্রশস্ত ইন্টেরিয়র এটিকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে।
৪. মিতসুবিশি ল্যান্সার
মিতসুবিশি ল্যান্সার একটি জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য সেডান, যা বহু বছর ধরে গাড়ির বাজারে তার জায়গা ধরে রেখেছে। এর ক্লাসিক ডিজাইন, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং আরামদায়ক ইন্টেরিয়র একে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করেছে। বাংলাদেশেও মিতসুবিশি ল্যান্সার রিকন্ডিশন এবং পুরাতন গাড়ি হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।
মিতসুবিশি ল্যান্সারের ইঞ্জিন সাধারণত ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা দ্রুতগতিতে চালানোর ক্ষেত্রে উচ্চমানের পারফর্মেন্স প্রদান করে। এই মডেলের ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব এবং মসৃণ পারফরম্যান্সের জন্য একে দীর্ঘ ভ্রমণে নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়। এর ইঞ্জিনে ব্যবহৃত টেকসই যন্ত্রাংশ একে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার উপযোগী করে তুলেছে, বিশেষ করে যারা গাড়ির মেইনটেনেন্স খরচ কম রাখতে চান।
ল্যান্সারের ইন্টেরিয়রও বেশ আরামদায়ক, যা যাত্রীদের জন্য বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য যোগ করে। গাড়িটির আধুনিক এবং আরামদায়ক আসন, স্পacious ইন্টেরিয়র এবং উন্নত সাসপেনশন সিস্টেম যেকোনো ভ্রমণকে আরামদায়ক করে তোলে। পারফরম্যান্স এবং ডিজাইনের সমন্বয়ে মিতসুবিশি ল্যান্সার বাংলাদেশের বাজারে এক আদর্শ গাড়ি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এটি তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায় এবং পুরাতন কিংবা রিকন্ডিশন মডেল হিসেবেও এটি চাহিদাসম্পন্ন।
৫. সুজুকি অ্যাল্টো
সুজুকি অ্যাল্টো বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং ছোট গাড়ির একটি মডেল হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। এটি ছোট আকার এবং কম্প্যাক্ট ডিজাইনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা শহরের রাস্তায় চালানোর জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে যারা একটি সহজলভ্য এবং বাজেট-বান্ধব গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য সুজুকি অ্যাল্টো একটি ভালো অপশন হতে পারে।
সুজুকি অ্যাল্টো সাধারণত ৬৬০ সিসি থেকে ১০০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির মধ্যে পাওয়া যায়, যা খুবই সাশ্রয়ী এবং জ্বালানি দক্ষ। এই মডেলের গাড়ি জ্বালানি খরচ অনেক কম, ফলে যারা প্রতিদিন গাড়ি চালান এবং জ্বালানি ব্যয়ে সাশ্রয় করতে চান তাদের জন্য এটি বেশ উপযোগী। সুজুকি অ্যাল্টো গাড়িটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং এর ইঞ্জিন টেকসই হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে এটি কার্যকর থাকে।
অ্যাল্টোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর সহজ রক্ষণাবেক্ষণ। এই মডেলের জন্য স্পেয়ার পার্টস সহজেই বাজারে পাওয়া যায় এবং মেইনটেনেন্স খরচও কম, ফলে বাজেটের মধ্যে থাকতেই এটি সহজলভ্য। এর ছোট আকৃতি পার্কিংয়ের সুবিধা যোগ করে এবং শহরের ব্যস্ত রাস্তায় সহজে পরিচালনা করা যায়। বাংলাদেশে যারা নতুন গাড়ি চালাতে শুরু করেছেন তাদের জন্যও সুজুকি অ্যাল্টো একটি আদর্শ গাড়ি হতে পারে।
৬. টয়োটা ভিটজ
টয়োটা ভিটজ ছোট সাইজের একটি প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক গাড়ি, যা টয়োটার উচ্চ মানের ইঞ্জিন এবং অত্যাধুনিক ডিজাইনের মিশ্রণে তৈরি। বাংলাদেশের রাস্তায় এটি একটি বহুল ব্যবহৃত গাড়ি, বিশেষত যারা ছোট পরিবার এবং শহরের যাতায়াতের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি সেরা অপশন।
টয়োটা ভিটজ সাধারণত ১০০০ সিসি থেকে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা জ্বালানির খরচ কম রাখতে সহায়ক। ভিটজ গাড়িটির জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে দৈনন্দিন ব্যবহারে এটি আর্থিকভাবে লাভজনক। এর ইঞ্জিন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং টেকসই হওয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করে। এই মডেলের ইঞ্জিন স্থিতিশীল এবং যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী, ফলে এটি দীর্ঘমেয়াদি এবং নির্ভরযোগ্য একটি গাড়ি।
টয়োটা ভিটজের ডিজাইন বেশ মডার্ন এবং আকর্ষণীয়। এর ইন্টেরিয়র ছোট হলেও বেশ আরামদায়ক, যেটি যাত্রীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসে। এছাড়া, পার্কিং এবং শহরের ব্যস্ত রাস্তায় সহজেই চালানোর সুবিধা এর জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তুলেছে। রিকন্ডিশন মডেল হিসেবেও ভিটজ বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং এর বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
৭. টয়োটা করোলা
টয়োটা করোলা একটি ক্লাসিক এবং বহুল জনপ্রিয় গাড়ি, যা টেকসই ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও এটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি মডেল, বিশেষ করে যারা একটি রিকন্ডিশন বা পুরাতন গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য টয়োটা করোলা বেশ উপযুক্ত। করোলা গাড়িটি এর প্রশস্ত ইন্টেরিয়র, আরামদায়ক আসন, এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
এই মডেলের ইঞ্জিন সাধারণত ১৩০০ সিসি থেকে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তায় চালানোর জন্য উপযুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা প্রদান করে। করোলার ইঞ্জিন অত্যন্ত স্থিতিশীল এবং মসৃণ গতি প্রদান করে, যা দীর্ঘ ভ্রমণে বিশেষ করে উপযোগী। গাড়িটির জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আদর্শ।
টয়োটা করোলার আরও একটি বিশেষত্ব হলো এর শক্তিশালী নির্মাণশৈলী, যা রাস্তায় গাড়ির স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। করোলার রক্ষণাবেক্ষণ সহজ এবং এর যন্ত্রাংশ সহজলভ্য হওয়ার কারণে এটি মেরামতে তেমন ঝামেলা হয় না। ফলে, এটি নতুন বা অভিজ্ঞ চালক সবার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য গাড়ি। যারা দীর্ঘস্থায়ী একটি গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য টয়োটা করোলা একটি উপযুক্ত পছন্দ।
৮. ডাইহাতসু মুভ
ডাইহাতসু মুভ বাংলাদেশের বাজারে একটি ছোট কিন্তু কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী গাড়ি হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। এর ছোট আকার, হালকা ওজন এবং কমপ্যাক্ট ডিজাইনের জন্য এটি শহরের ব্যস্ত রাস্তায় চালানোর জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। যারা প্রথমবারের মতো গাড়ি চালানো শুরু করছেন বা একটি সহজে পরিচালনা করা যায় এমন গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য ডাইহাতসু মুভ একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।
ডাইহাতসু মুভ সাধারণত ৬৬০ সিসি থেকে ১০০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা খুবই সাশ্রয়ী এবং জ্বালানি দক্ষ। এটি প্রতি লিটার জ্বালানীতে অনেক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে, যা গাড়িটির দৈনন্দিন ব্যয় কমিয়ে দেয়। জ্বালানী সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে, এটি যেকোনো শহুরে পরিবার বা একক ব্যবহারকারীর জন্য বাজেট-বান্ধব।
ডাইহাতসু মুভ গাড়িটির ইন্টেরিয়র ছোট হলেও আরামদায়ক এবং আধুনিক। এতে আছে আরামদায়ক আসন এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য কন্ট্রোল সিস্টেম, যা নতুন চালকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক। পার্কিং এবং সরু রাস্তায় চালানোর জন্য এটি সহজ এবং ব্যবহারে মসৃণ। মুভের জন্য যন্ত্রাংশও সহজলভ্য এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম, ফলে এটি বাজেটের মধ্যে থাকা একটি আদর্শ গাড়ি।
৯. নিশান এক্স-ট্রেইল
নিশান এক্স-ট্রেইল একটি শক্তিশালী এবং টেকসই এসইউভি, যা ভ্রমণপ্রিয় এবং বৃহৎ পরিবারের জন্য উপযুক্ত। গাড়িটি উচ্চমানের পারফরম্যান্স, আরামদায়ক ইন্টেরিয়র এবং মজবুত কাঠামোর জন্য পরিচিত। বাংলাদেশের বাজারে এটি তুলনামূলকভাবে বড় গাড়ি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে, বিশেষ করে যারা একটি এসইউভি কিনতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।
নিশান এক্স-ট্রেইল সাধারণত ২০০০ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা অফ-রোড ভ্রমণের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং মসৃণ পারফরম্যান্স প্রদান করে। এটির ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন একসাথে কাজ করে যেকোনো ধরনের রাস্তায় চলাচলের উপযোগী। নিশান এক্স-ট্রেইল গাড়িটির উচ্চ ফুয়েল ইকোনমি, যা দূরপাল্লার ভ্রমণে জ্বালানি খরচ কমায়।
গাড়িটির ইন্টেরিয়র খুবই প্রশস্ত এবং আরামদায়ক, যা যাত্রীদের ভ্রমণের সময় বিশেষ আরাম দেয়। সেফটি ফিচারগুলোর দিক থেকে নিশান এক্স-ট্রেইল সমৃদ্ধ এবং এর স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, এয়ারব্যাগ এবং শক্তিশালী ব্রেকিং সিস্টেম যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। রিকন্ডিশন অবস্থায় এই গাড়িটি বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং বাজারে এর চাহিদাও বেশি।
১০. টয়োটা প্রিমিও
টয়োটা প্রিমিও একটি প্রিমিয়াম সেডান গাড়ি যা টয়োটার উচ্চমানের ইঞ্জিন, উন্নত প্রযুক্তি এবং আরামদায়ক ভ্রমণের মিশ্রণে তৈরি। বাংলাদেশে প্রিমিও ব্যাপক জনপ্রিয় এবং এটি একটি নির্ভরযোগ্য রিকন্ডিশন গাড়ি হিসেবেও স্থান করে নিয়েছে।
টয়োটা প্রিমিওর ইঞ্জিন সাধারণত ১৫০০ সিসি থেকে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করার জন্য খুবই কার্যকর। এর শক্তিশালী ইঞ্জিন মসৃণ এবং দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য আদর্শ। এটি জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘ ভ্রমণে ভালো মাইলেজ প্রদান করে, ফলে দৈনন্দিন ব্যবহারেও এটি অর্থনৈতিক।
প্রিমিওর ইন্টেরিয়র অত্যন্ত আরামদায়ক এবং প্রিমিয়াম মানের। এতে রয়েছে উন্নত সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট, প্রশস্ত লেগস্পেস এবং মসৃণ কন্ট্রোল যা যেকোনো ভ্রমণকে আরামদায়ক করে তোলে। প্রিমিওর ডিজাইনও আধুনিক এবং আকর্ষণীয়, যা একে শহরের রাস্তায় অনন্য করে তোলে। এছাড়া এর রক্ষণাবেক্ষণ সহজ এবং টয়োটা ব্র্যান্ডের জন্য যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়া যায়, ফলে এটি মেরামতেও সুবিধাজনক।
উপসংহার:
উপরের তালিকাভুক্ত গাড়িগুলো বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া সেরা মডেলগুলোর মধ্যে কয়েকটি। প্রতিটি গাড়িরই রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা, যা নির্দিষ্ট চাহিদার উপর ভিত্তি করে ক্রেতাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হতে পারে। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় কম্প্যাক্ট গাড়ি যেমন সুজুকি অ্যাল্টো ও ডাইহাতসু মুভ উপযুক্ত, তেমনই দীর্ঘ ভ্রমণ বা পরিবারের জন্য বৃহৎ ও শক্তিশালী গাড়ি যেমন নিশান এক্স-ট্রেইল এবং টয়োটা প্রিমিও উপযোগী। আপনি যদি একটি নির্ভরযোগ্য, বাজেট-বান্ধব এবং দীর্ঘস্থায়ী গাড়ি খুঁজছেন, তাহলে উপরের তালিকা থেকে আপনার জন্য সঠিক মডেলটি খুঁজে নিতে পারবেন।
CarSell এ আপনি নতুন, পুরাতন এবং রিকন্ডিশন সব ধরনের গাড়ি সহজে খুঁজে পেতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে গাড়ির সব ধরণের তথ্য, রেটিং এবং বৈশিষ্ট্য সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। সেরা দামে সেরা গাড়ি খুঁজে পেতে এখনই CarSell এর সাথেই থাকুন।